বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ২০০ মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার ফল বাতিল ও উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে পুলিশ ও আনসারদের সংঘর্ষ হয়েছে।
আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন চিকিৎসক আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, বেশ কয়েকদিন ধরে বিএসএমএমইউ’র ২০০ মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার ফল বাতিল ও উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন পরীক্ষার্থীরা। তারা আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের কক্ষে জড়ো হন। তখন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে আন্দোলনকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
এক পর্যায়ে পুলিশ ও আনসারদের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এরপর পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আন্দোলনকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার সময় কয়েকজন আহত হন।
এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনকারীরা প্রশাসনিক ভবনের মূল প্রবেশদ্বারে বসে পড়েন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছেন।
গত ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত ২০০ জন চিকিৎসক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল গত ১২ মে দুপুরে প্রকাশ হয়। ১৮০ জন মেডিকেল অফিসার ও ২০ জন ডেন্টাল চিকিৎসক পদে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় আট হাজার ৫৫৭ জন চিকিৎসক অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষায় ৭১৯ জন মেডিকেল অফিসার ও ডেন্টালের ৮১ জন মিলে মোট ৮২০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পরপরই অর্ধ শতাধিক চিকিৎসক বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর থেকে তাদের আন্দোলন চলছে। তারা কয়েক দফা ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ক্যাম্পাস ও ভিসির কার্যালয় ঘিরে পুলিশ-আনসার মোতায়েন রাখা হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ভিসি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের স্বজনদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য পরীক্ষার ফলে টেম্পারিং করা হয়েছে। তারা এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই বিভিন্ন কোর্সে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এখানেই তাদের চাকরি হবে বলে আশা করছিলেন। লিখিত পরীক্ষাও ভালো হয়েছে। কিন্তু অনিয়মের কারণে এখন বাদ পড়ছেন।